GPA/CGPA লাভ না ক্ষতি?
জুনিয়র
স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)
এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ থাকছে না।
কেনঃ
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য করতে এ মূল্যায়ন পদ্ধতি
কমিয়ে জিপিএ-৪ করা হচ্ছে।
শিক্ষার সকল
স্তরে একই রকমের গ্রেড গণনা পদ্ধতি না থাকায় প্রায় সময় অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশ ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সিজিপিএ-৪ সর্বোচ্চ
গ্রেড হিসেবে নির্ধারণ করা রয়েছে । তাই জিপিএ-৪ করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়,
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি।
GPA একটি একক শব্দ বা এক বছরের জন্য গণনা
করা হয়,
যেখানে CGPA একটি কোর্সের পুরো সময়কাল জন্য গণনা করা
হয়।
বাংলাদেশে
২০০১ সাল থেকে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতি চালু হয়।
৮০ থেকে ১০০
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট 5(A+) । এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড।
৭০ থেকে ৭৯
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট 4(A)
৬০ থেকে ৬৯
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট 3.5(A-)
৫০ থেকে ৫৯
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট 3(B)
৪০ থেকে ৪৯
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট 2(C)
৩৩ থেকে ৩৯
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট 1(D)
শূন্য থেকে
৩২ পাওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট 0(F),
33-এর কম নম্বর পেলে ফেল, এর
লেটার গ্রেড ‘এফ’, এতে কোনো গ্রেড পয়েন্ট নেই।
সব বিষয়েই
৮০-র ওপরে নম্বর পাওয়া ফলকে অভিভাবকরা গোল্ডেন জিপিএ ৫ বলে থাকেন।
শিক্ষা
বোর্ডগুলোর ফল নির্ধারণ পদ্ধতিতে গোল্ডেন জিপিএ নামে কোনো গ্রেড নেই।
বর্তমানে
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যা আছে ঃ
৮০ থেকে ১০০
নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৪(A+), এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড।
৭৫ থেকে
৮০-এর মধ্যে সিজিপিএ 3.75 (A)
৭০ থেকে
৭৫-এর মধ্যে গ্রেড পয়েন্ট 3.50 (A-)
৬৫ থেকে
৭০-এর মধ্যে পয়েন্ট 3.25 (B+)
৬০
থেকে ৬৫-এর মধ্যে পয়েন্ট 3(B)
৫৫
থেকে ৬০-এর মধ্যে পয়েন্ট 2.75
(B-)
৫০
থেকে ৫৫-এর মধ্যে পয়েন্ট 2.50
(C+)
৪৫
থেকে ৫০-এর মধ্যে পয়েন্ট 2.25
(C)
৪০
থেকে ৪৫ নম্বর পেলে পয়েন্ট 2. (D),
৪০-এর
কম নম্বর পেলে ফেল,
এর লেটার গ্রেড ‘এফ’, এতে কোনো গ্রেড পয়েন্ট নেই।
বিস্তারিতঃ
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল-কলেজ পর্যন্ত ফলাফল GPA দিয়ে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়, সেখানকার প্রতিটা কোর্সের (বিষয়) ক্রেডিট (credit) হিসাবে ধরা হয়। কোনো বিষয় 2 ক্রেডিটের, কোনোটা 3 ক্রেডিটের,কিছু বিষয় 4 ক্রেডিটের।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল-কলেজ পর্যন্ত ফলাফল GPA দিয়ে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়, সেখানকার প্রতিটা কোর্সের (বিষয়) ক্রেডিট (credit) হিসাবে ধরা হয়। কোনো বিষয় 2 ক্রেডিটের, কোনোটা 3 ক্রেডিটের,কিছু বিষয় 4 ক্রেডিটের।
ক্রেডিটের মান দিয়ে আমরা বুঝতে পারি, বিষয়টি সপ্তাহে কত ঘণ্টার ক্লাস করতে হয়। সাধারণ গড় করে
রেজাল্ট তৈরি করা যায় না।
CGPA কোন পদ্ধতি্তে বের
করা হয়।
সাধারণ গড়
১ম বর্ষ ১ম
সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিট ছিলো 18, রেজাল্ট ছিলো 3.75।
১ম বর্ষ ২য়
সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিট ছিলো 17, রেজাল্ট ছিলো 3.75।
তাহালে, CGPA = (3.75 * 18 +
3.75 * 17) / (18 + 17) = 3.75 ( A-)
এবার, ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ক্রেডিট 22, এবং রেজাল্ট 3.80।
তাহলে নতুন এই
সেমিস্টার পর্যন্ত তার রেজাল্ট হবে, CGPA = ( (3.75*35) + (3.80*22) ) / (35 + 22)
সুতারং
CGPA
= [(আগের সেমিস্টার পর্যন্ত
CGPA
* আগের সেমিস্টার পর্যন্ত
ক্রেডিট) + (নতুন সেমিস্টারের CGPA * নতুন সেমিস্টারের ক্রেডিট)] / (নতুন সেমিস্টার পর্যন্ত সর্বমোট ক্রেডিট)
একে একে সব পরীক্ষার রেজাল্ট একসাথে CGPA দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
বিস্তারিত এর জন্য ভিডিও হেল্প নিতে পারেন।
বিস্তারিত এর জন্য ভিডিও হেল্প নিতে পারেন।
©Friends Radio
No comments